সব রেকর্ড ভেঙে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল বিপুল অর্থ
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১২-০৪-২০২৫ ০৭:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৪-২০২৫ ০৯:০৬:০৭ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
দানের টাকায় আবারো রেকর্ড গড়লো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। এবার মিলেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। মনোবাসনা পুরণের বিশ্বাসে দিন দিন বাড়ছে দানের পরিমাণ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে মসজিদের ১১ দানবাক্স খোলা হয়। এতে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দুই তলায় নিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নেয় মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পাশের জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ চার শতাধিক মানুষ।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
গণনা শেষে বিকেল পৌনে ৬টায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই মসজিদে দান করছেন। এখানে দান করলে মনের আশা পূরণ হয় এ বিশ্বাস তাদের। এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বাড়ছে।
দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়। সারাবছর চলে সমাজসেবামূলক কাজ। দানের টাকায় নির্মাণ করা হবে মসজিদ ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে একশ ১৫ কোটি টাকা।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩০শে নভেম্বর এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। ২৯ বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়া পাওয়া যায় বিদেশি মুদ্রা, সোনা, রূপা ও হীরার গয়না।
জনশ্রুতি রয়েছে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তরা সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে তোলা হয়। পরে কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স